বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর তাগিদ

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ। বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ তাগিদ দেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনদিনের সফরে ঢাকা এসেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি।
স্থল-নদী-আকাশ পথে উন্নত যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে কোভিন্দ বলেন, এই কারণে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।

তিনি দু’দেশের বিনিয়োগকারীদের যোগাযোগ খাতে আরও বিনিয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে যুদ্ধের নায়ক হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, বাংলাদেশ মারাত্মক কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।

এর আগে ফার্স্ট লেডি শ্রীমতি সবিতা কোভিন্দ এবং তাদের মেয়ে স্বাথী কোভিন্দকে সাথে নিয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। ফুলের তোড়া দিয়ে তাদের স্বাগত জানান আবদুল হামিদ ও তাঁর স্ত্রী রাশিদা হামিদ।

পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক করেন দুই রাষ্ট্র প্রধান। এ সময় রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ বলেন, ভারত বাংলাদেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সার্বিক সহযোগিতার কথা স্মরণ করে দেশটির সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুরু হয়েছিল তা বর্তমানে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বার্তা পাঠিয়ে এবং ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে যোগ দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ডা. আব্দুর রাজ্জাক এবং সফররত ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডা. সুভাষ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপহার হিসেবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ব্যবহৃত রাশিয়ান টি-৫৫ ট্যাঙ্ক এবং মিগ-২১ ভিনটেজ যুদ্ধ বিমানের দু’টি রেপ্লিকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে দেন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি।

পরে বঙ্গভবনের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন রামনাথ কোভিন্দ। রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে, ভারতের ফার্স্ট লেডি শ্রীমতি সবিতা কোভিন্দও বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে দেয়া নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারাও নৈশভোজে অংশ নেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন তারা।