এএসপি হত্যা: মাইন্ড এইড হাসপাতালে তালা

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাকার আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় হাসপাতালের অন্যতম এক মালিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হাসপাতালের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুল করিম শিপন মানসিক চিকিৎসার জন্য সোমবার ওই হাসপাতালে যান।

কিন্তু চিকিৎসার বদলে সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আনিসুলের বাবা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদ ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এর আগে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক। জানা গেছে, ওই হাসপাতালে থাকা ১৬ জন রোগী আনিসুলের মৃত্যুর ঘটনার পরপরই অন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে চলে যান।

পুলিশের সাবেক ওসি মুক্তিযোদ্ধা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদের ছেলে আনিসুল সোমবার বরিশাল থেকে গাজীপুরে তাদের বাড়িতে যান। ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ থাকায় চিকিৎসার জন্য তাকে আদাবরের ওই হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।

হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কয়েকজন মিলে মারতে মারতে আনিসুল করিমকে হাসপাতালের দোতলার একটি রুমে ঢোকায়। সেখানে তাকে মেঝেতে উপুড় করে শুইয়ে ফেলা হয় এবং তিন-চারজন পিঠের উপর হাঁটু দিয়ে চেপে বসে। কয়েকজন তার হাত ওড়না দিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে।

কয়েকজন কনুই দিয়ে তার ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করে। একজন মাথার উপরে চেপে বসে এবং বাকিরা মিলে পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আনিসুল করিম নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

১৫ আসামির মধ্যে গ্রেফতারকৃত ১০ জন হলেন- হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির (২৩), কিচেন শেফ মো. মাসুদ (৩৭), ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান (১৮), ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন (১৯), তানিফ মোল্লা (২০), সঞ্জীব চৌধুরী (২০), অসীম চন্দ্র পাল (২৪), লিটন আহাম্মদ (১৮) এবং সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।