ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
বিপজ্জনক গ্রহাণু থেকে পৃথিবীকে রক্ষায় আগাম পরীক্ষা চালাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসা। এ লক্ষ্যে মহাকাশে নতুন নভোযান উৎক্ষেপণ করেছে সংস্থাটি। এই নভোযানটি আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে অনেক সংবাদ মাধ্যম।
নাসার আগাম এই গবেষণা অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ডার্ট মিশন। যার লক্ষ্য হবে গৃহাণুর সাথে পৃথিবীর সংঘাত এড়ানো কতটা কঠিন, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই করা। বিজ্ঞানীরা জানান, নতুন মহাকাশযানটি ডাইমোর্ফোস নামের একটি গৃহাণুর গায়ে বিধ্বস্ত হবে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ওই গ্রহাণুর গতি। একই সাথে আঘাত হানার মাধ্যমে এর গতিপথ কতটুকু পরিবর্তন করা গেলো, তাও পরিস্কার হবে এই পরীক্ষায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহাণুর মতো মহাজাগতিক ধুলিকণার আঘাতে ধ্বংস হতে পারে একটি মহাদেশসম অঞ্চল। এ কারণে নতুন অভিযানকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করছে নাসা।
ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স ঘাঁটি থেকে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয় ফ্যালকন-৯ রকেট। ডার্ট স্পেসক্র্যাফটকে যা বহন করে মহাকাশে পৌঁছে দেয়।
নাসা জানিয়েছে, কোন গ্রহাণুই এই মুহূর্তে পৃথিবীর জন্য হুমকি নয়। তবে ভবিষ্যতে কোন এক সময় তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে এই গ্রহ রক্ষায় আগাম ব্যবস্থা তৈরি করে রাখা এই গবেষণার উদ্দেশ্য।
ডার্ট মিশনে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩২ কোটি ডলার। যার লক্ষ্য একে অপরকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান বাইনারি খ্যাত দু’টি গ্রহাণুর দিকে ধাবিত হওয়া। সবচেয়ে বড়টির নাম ডিডিমস। এর আকার হতে পারে ৭৮০ মিটারের মতো। তবে ছোটটির নামই ডাইমর্ফোস। যা ১৬০ মিটারের মতো বিস্তৃত।
পৃথিবী থেকে এই বাইনারির দূরত্ব ৬৭ লাখ মাইল। সেখানে পৌঁছাতে ডার্ট মহাকাশযানের সময় লাগবে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিজ্ঞানীরা জানান, ঘণ্টায় প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার গতি নিয়ে ডাইমর্ফোসে আঘাত হানবে ডার্ট। যাতে ওই গ্রহাণুর গতিপথ সেকেন্ডে এক মিলিমিটার পরিবর্তন হওয়ার কথা।
নাসার গবেষকরা জানান, দৃশ্যত এই পরিবর্তন খুবই সামান্য হলেও পৃথিবীর সাথে সংঘাত এড়াতে হতে পারে এটাই যথেষ্ট।