সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
রাজধানীতে এলএসডি নামে ভয়ানক মাদকের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। ৬ লাখ টাকার ২০০ ব্লুট মাদকসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকেও গ্রেফতার করেছে তারা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এই মাদক মস্তিষ্কে এমন এক প্রভাব সৃষ্টি করে, যা হ্যালুসিনেশনে সাহায্য করে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে এলএসডি মাদকের সন্ধান পায় ডিবি। ওই ছাত্রের মৃত্যুর সাথে এর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি জানান, এলএসডি যারা গ্রহণ করেন, তারা বিভিন্ন রং ও আকৃতির জিনিস চোখের সামনে ভাসতে দেখেন, বাস্তবে যার অস্তিত্ব নেই। এছাড়া এই ড্রাগ মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যক্ষমতা এমনভাবে বাড়িয়ে দেয়, যার প্রভাবে গ্রহণকারী সহিংস হয়ে উঠতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ম্যাসেজিং অ্যাপস টেলিগ্রাম ব্যবহার করে নেদারল্যান্ড থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে ড্রাগটি দেশে আনা হয়। বিক্রির ক্ষেত্রে দু’টি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করতো বিক্রেতারা।
গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের বরাদ দিয়ে গোয়েন্দারা জানান, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই মূলত এলএসডি’র ক্রেতা। তবে একাধিক চক্র এর বিক্রির সাথে জড়িত বলে ডিবির জিঞ্জাসাবাদে তথ্য দিযেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র।
১৯৩৮ সালে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণে ল্যাবরেটরিতে প্রথম এলএসডি তৈরি করেন সুইজারল্যান্ডের রসায়নবিদ অ্যালবার্ট হফম্যান। ড্রাগটি যাতে বাংলাদেশে আর আসতে না পারে, সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।