সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
অবশেষ করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করলো বাংলাদেশ। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কোস্তাকে ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কুর্মিটোলা হাসপাতালে সম্মুখ সারির আরো ৪ যোদ্ধাকে এই টিকা দেয়া হয়।
এরপর স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মী, সাংবাদিকসহ একে একে টিকা নেন আরো ২৫ জন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এ অনুষ্ঠানে। এসময় তিনি বলেন, শিগগিরই সারা দেশে টিকা দেওয়া শুরু হবে, যাতে দেশের মানুষ কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আরো চারটি হাসপাতালে সম্মুখসারির ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে দেয়া হবে এই টিকা। এজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে।
টিকা প্রয়োগের পর টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিকে রাখা হবে পর্যবেক্ষণে। কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে প্রতিটি হাসপাতালেই রাখা হয়েছে আলাদাভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা।
গর্ভবতীসহ ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স এবং যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কম, তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না। এছাড়াও ৯০ বছরের বেশি বয়স্কদেরও দেয়া হবে না করোনার ভ্যাকসিন।
প্রথমদিনে যারা টিকা নিলেন এখন পর্যন্ত তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।