সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
বিশ্বে ডায়েটিসে ভুগছে ৪২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত না থাকলে রক্তক্ষরণ হয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তেমনি হাত-পা শির শির বা অবশ হয়ে যেতে পারে, যাকে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বলা হয়। এমনকি পাও হারাতে হতে পারে। ডায়াবেটিসের ফলে নিরব হার্ট এ্যাটাক হয় এবং কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শৃঙ্খলা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই ডায়াবেটিস ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ওষুধের ভূমিকা নগণ্য বলেও জানান তারা। কেবল শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জটিলতাবিহীন জীবন যাপন করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস।
সাধারণত ডায়াবেটিস দেখা যায় টাইপ-১ বা ইনসুলিন নির্ভরশীল। যা ৩০ বছরের কম বয়সী মানুষের মধ্যে বেশি হয়। যার শরীরে ইনসুলিন ফুরিয়ে যায়, বেঁচে থাকতে তাকে ইনসুলিন নিতে হয়। আমাদের দেশে এর পরিমাণ ১০ হাজারে একজন। তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস আমাদের পারিবারিক জীবনের সঙ্গী।
বেশির ভাগ লোকই জানে ঘন ঘন প্রস্রাব, বেশি খিদে পাওয়া, ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি বোধ করা, চামড়া শুকিয়ে যাওয়া বা ঘা পাঁচড়া ইত্যাদি না শুকানো এবং চোখে কম দেখতে পাওয়া ইত্যাদি ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত থাকলে জটিলতাবিহীন জীবন যাপন করা সম্ভব।
অন্যদিকে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে তেমন লক্ষণ থাকে না। নিয়মিত চিকিৎসা নিতে গেলে তা ধরা পড়ে। এ ধরনের ডায়াবেটিসের চিকিৎসা ইনসুলিন দিয়েই করতে হয়। তবে সুখবর হলো, সন্তান জন্মাবার পর এই রোগ ভালো হয়ে যায়।
