হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু একত্রে ৪০টি মৃতদেহ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক মৃতদেহ সংরক্ষণাগার হয়েছে। সংরক্ষণাগারটি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে জানিয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।
মৃতদেহের মর্যাদাপূর্ণ ও যথাযথ ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) সহযোগিতায় নতুন এই মৃতদেহ সংরক্ষণাগার (হিমঘর) প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনে অনুষ্ঠিত মৃতদেহ সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও আইএফআরসির গভর্নিং বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, পাবলো পের্চেলসি, আইসিআরসি বাংলাদেশ হেড অব ডেলিগেশন ও মি. হেনিং ক্রাউসে, আইসিআরসি বাংলাদেশ প্রটেকশন কোঅর্ডিনেটর।
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই হিমঘর একটি ৪০ ফুট রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ কন্টেইনার থেকে তৈরি হয়েছে। এখানে লাগানো হয়েছে উন্নত মানের স্টিলের ফ্রেম, যেন তা সর্বোচ্চ ৪০টি মরদেহ ধারণ করতে পারে।
ইউনিটটিতে দেহগুলো সার্বক্ষণিক ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা হবে, যেন বাংলাদেশের আর্দ্র আবহাওয়ায় নষ্ট না হয়। এর ফলে প্রত্যেকের সুরক্ষা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন থেকে মরদেহ নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবে। এছাড়া মৃতদেহ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এই হিমাগারে মৃতদেহ নিরাপদ এবং ধর্মীয় মর্যাদার সাথে সংরক্ষণ করা হবে।
এর আগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইসিআরসির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন ও আইসিআরসি বাংলাদেশ হেড অব ডেলেগেশন পাবলো পের্চেলসি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।