সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
‘দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসা’ নামে দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো ভিন্ন ধারার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে এই মাদ্রাসায় তৃতীয় লিঙ্গের দেড়শ’ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছেন। অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান লক্ষ্য।
তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ায় পরিবার থেকে অনেক দূরে ভিন্ন এক পরিবেশে বড় হয়েছেন আশামনি। স্বপ্ন দেখেন শিক্ষিত হওয়ার। নিজের যোগ্যতা দিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার। দেরিতে হলেও মাদ্রায় পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি সোনালী। পড়ছেন তাদের জন্য চালু হওয়া দাওয়াতুল কুরআন মাদ্রাসায়।
আর দশজনের মতোই ছোটবেলায় কিছুদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো কুটুমের। তবে তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ায় তিনি টিকতে পারেননি সে স্কুলে। মেলেনি প্রিয়জনের সাথে থাকার সুযোগ। এবার শিক্ষিত হওয়ার নতুন সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাতে চান কুটুম।
দেশের অবহেলিত এই জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসাটি স্থাপন করা হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১০ জন শিক্ষককে। পড়াশোনার জন্য একটি স্থায়ী জায়গা ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
দাওয়াতুল কুরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসার পরিচালক আবদুর রহমান আজাদ জানান, তৃতীয় লিঙ্গের যেকোন বয়সের মানুষ পড়াশোনা করতে পারবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। একই সাথে কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি-না, তা নিয়েও সুদূরপ্রসারী চিন্তার কথা জানান তিনি।