সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ সদস্যের একটি গবেষকদল ব্যাকটেরিয়ার একটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করে এর নাম দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে পুষ্ট করে।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মাইক্রোবায়োলজিতে এটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদলে ছিলেন রাজু বিশ্বাস, অরিজিৎ মিশ্র, সন্দীপ ঘোষ, অভিনব চক্রবর্তী এবং পূজা মুখোপাধ্যায়।
বিশ্বভারতীর উদ্ভিদ বিজ্ঞানের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরির সহকারী অধ্যাপক বোম্বা দাম বলেন, এটি একটি ‘উপকারী’ ব্যাকটেরিয়া।
গবেষক দল ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ঝরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন এলাকায় সন্ধান চালান। সেখানেই নতুন প্রজাতির ওই ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মেলে।
ওই আবিষ্কৃত বিষয়টিকে অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রোবায়োলজিস্ট অব ইন্ডিয়ায় জানাই। পাশাপাশি চলতি মাসেই ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মাইক্রোবায়োলজিতে বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
এরপর সংশ্লিষ্ট সংস্থা নতুন ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দেয়। কৃষিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের কথা মাথায় রেখে আমরা মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই ব্যাকটেরিয়ার নামকরণ করি প্যান্টোইয়া টেগোরি। পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস দ্রবীভূত করতে পারে এই নতুন প্রজাতিটি।
শান্তিনিকেতনে হলকর্ষণ উৎসবের মতো চাষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নানান অনুষ্ঠান হতো। পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তিনি বিলাতে কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। যাতে এদেশে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষবাস সম্ভব হতে পারে।
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের রুক্ষ্ম মাটিতে তথা দেশের কৃষির উন্নতিতে অনেক অবদান রেখে গেছেন। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি বিজ্ঞানমনস্ক চাষবাসে কৃষকদের উৎসাহিত করেন।
তিনি বলেন, এই প্রথম প্রাণ আছে এমন কোনো জিনিসের নামকরণ হল গুরুদেবের নামে। কারণ এই ব্যাকটেরিয়াও উপকারী তথা ভালো ব্যাকটেরিয়া।
রাসায়নিক সারের প্রয়োগে জমির উর্বর ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কৃষকরা তাই এখন জৈবচাষে উৎসাহী হচ্ছেন। তিনি বলেন, ঝরিয়া কয়লা খনির মাটি থেকে আমরা এই ব্যাকটেরিয়াটিকে আবিষ্কার করি।
তিনি আরও বলেন, চাষের কাজেও এটা ব্যবহার করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। কার্যকরী উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক গবেষকদলের কাজের প্রশংসা করে বলেন, কৃষিক্ষেত্রে এর গভীর প্রভাব পড়বে।