সাইকোহেলথ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বিরোধী দলীয় নেতা মোহাম্মদ মুইজ্জো। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহকে হারিয়ে জয়লাভ করেন তিনি।
চীনপন্থি মোহাম্মদ মুইজ্জোকে ‘ভারত বিরোধী’ নেতা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, যদি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, তাহলে মালদ্বীপে মোতায়েনকৃত স্বল্পসংখ্যক ভারতীয় সেনাকে বের করে দিয়ে দেশকে ভারতের প্রভাবমুক্ত করা হবে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রথম ধাপে কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় এ নির্বাচন রানঅফ বা দ্বিতীয় ধাপের ভোটে গড়ায়। যাতে লড়াই হয় এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, নির্বাচনে ব্যবহৃত ৫৬৮ ব্যালটের সবগুলোর গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মোহাম্মদ মুইজ্জো পেয়েছেন ৫৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ঘোষণার পর পরাজয় মেনে নেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম। একই সাথে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জোকে অভিনন্দন জানান তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, মোহাম্মদ মুইজ্জো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মালদ্বীপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনে ভারতের প্রভাব ক্রমশঃ কমতে থাকবে। এর বিপরীতে বাড়বে চীনের প্রভাব।
এর আগে রাজধানী মালের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ মুইজ্জো। এখন তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য পর্যটনসমৃদ্ধ এ দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপের ক্ষমতায় ছিল মোহাম্মদ মুইজ্জোর রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভি পার্টি অব দ্য মালদ্বীপ (পিপিএম) নেতৃত্বাধীন জোট। তখন চীনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে মালদ্বীপ।
এমনকি ওই সময় চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনেশিয়েটিভে যোগ দিয়েছিল দেশটি এবং বড় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বেইজিংয়ের কাছ থেকে বিপুল ঋণ আদায় করে মালদ্বীপের সরকার।