সাইকোহলেথ নিউজ ডেস্ক
চতুর্থ টি- টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে ৩-১ এ সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নাসুমের স্পিনের পর মুস্তাফিজের পেস আক্রমণে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয় টস জয়ী নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ৯৬ রান তুলে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও জিতে নেয় বাংলাদেশ।
এর ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয় পেলো বাংলাদেশ। এছাড়াও টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা। ১০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন নাসুম আহমেদ।
লো স্কোরিং পিচে মাত্র ৯৪ রানের টার্গেটে নেমে ৮ রানেই সাজঘরে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস। আজাজ প্যাটেলের দ্বিতীয় ওভারে সাকিব-মুশফিক বিদায় নিলে দিশাহারা বাংলাদেশ শিবির।
ভরাডুবি থেকে দলকে বাঁচানোর দায়িত্ব তখন মাহমুদুল্লাহ আর নাঈমের কাঁধে।
৪র্থ উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়লেও রান আউটে কাটা পড়েন ৩৫ বলে ২৯ রান করা নাঈম। জয়ের জন্য বাংলাদেশের তখনও প্রয়োজন ২৭ রানের। শেষ ওভারে ম্যাচ গেলেও কোনো বিপর্যয় ঘটতে দেননি বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। আফিফ হোসেনকে নিয়ে টাইগারদের আরো একটি জয় এনে দেন তিনি।
৪৮ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় অপরাজিত ৪৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ।
এর আগে, রাচিন রবীন্দ্রকে বিদায় করে বাংলাদেশের সাফল্যের শুরুটা করেন ম্যাচসেরা নাসুম আহমেদ। সাকিবকে ছক্কা মেরে ঝড়ো সূচনার আভাস দিলেও নাসুমের বলে অক্কা পান ফিন অ্যালেন।
১৬ রানে নিউজিল্যান্ডের ২ উইকেট তুলে নিলে মিরপুরে টাইগারদের শাসন প্রতিষ্ঠা পায়।
তৃতীয় উইকেটে উইল ইয়াংকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটিতে টম ল্যাদাম প্রাথমিক বিপর্যয় ঠেকানোর চেষ্টা করেন। পরে দলের স্কোরে আর ১ রান যোগ করতেই টাইগার বোলাররা ল্যাদাম, নিকোলস ও গ্রান্ডহোমকে বিদায় করলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
সেই ধ্বংস আর ঠেকানো যায়নি। শুরুতে নাসুমের স্পিন আর শেষে মুস্তাফিজের পেসে কাবু নিউজিল্যান্ড থামে ৯৩ রানে। চারটি করে উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে অল্প রানে গুটিয়ে দেন মুস্তাফিজ-নাসুম। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই অর্জনে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।