ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান পাওয়া করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা, হংকং, বতসোয়ানা ও ইসরায়েলে করোনার বি.১.১.৫২৯ ধরন শনাক্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যত ধরন আবিষ্কৃত হয়েছে, তার মধ্যে এটি বেশি ভয়ানক হতে পারে।
এ নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডবিউএইচও। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানাসহ প্রতিবেশী ছয় দেশে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর ও জাপানসহ বেশ কিছু দেশ। একই কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
আফ্রিকায় যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করছে ভারতও। বিমানবন্দরে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার বিষয়টিতে আরও কড়াকড়ি আনার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর আশপাশের দেশগুলো থেকে যারা যাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে যা জানা গেছে
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, তা নিয়ে এখনও খুব বেশি তথ্য হাতে আসেনি গবেষকদের। মনে রাখা বা বলার সুবিধার্থে ডেল্টা বা বেটার মতো কোন নামকরণও এখন পর্যন্ত হয়নি। একে আপাতত বলা হচ্ছে বি.১.১.৫২৯ স্ট্রেইন।
কতটা ভয়ানক নতুন ভ্যারিয়েন্ট
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এখন পর্যন্ত করোনার যতগুলো ধরন আবিষ্কৃত হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট। কারণ এই ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাস থেকে অনেক বেশি পরিবর্তিত এবং অনেক বেশি আলাদা।
ধারণা করা হচ্ছে, এটি অনেক বেশি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক। এমনকি এই ধরনের বিপরীতে প্রচলিত ভ্যাকসিন কার্যকর নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই টিকা উহানে পাওয়া করোনার প্রাথমিক ধরনকে কেন্দ্র করে তৈরি। আর নতুন ভ্যারিয়েন্টটি প্রাথমিক ধরন থেকে অনেক বেশি পরিবর্তিত।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা কাজ করবে কিনা, কত দ্রুত ছড়াবে, উপসর্গ কতটা ভয়াবহ হবে- এসব নিয়েই এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন গবেষকরা। মূলত এর আচরণ বোঝার চেষ্টা করছেন তারা।