সাইকোহেল্থ নিউজ ডেস্ক
সাধারণ মানুষ সচেতন থাকলে মে মাসের মধ্যেই ৯৯ শতাংশ করোনামুক্ত হতে পারে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন- এসইউটিডির ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকেরা এমন আভাস দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ৯৭ শতাংশ কমে আসবে মে মাসে।
এসইউটিডির ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিশ্বের ১৩১টি দেশের করোনা বিষয়ক এই প্রক্ষেপণ (প্রজেকশন) তুলে ধরা হয়েছে। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটাই প্রথম।
এতে বলা হয়েছে, মে মাসে ৯৯ শতাংশ কমে গেলেও বাংলাদেশ থেকে ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি শেষ হতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারতে করোনার সংক্রমণ ২১ মে’র মধ্যে ৯৭ শতাংশ কমতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে একই পরিমাণে আক্রান্ত কমবে ১১ মে’র মধ্যে। ইতালি ৭ মে’র মধ্যেই ওই পরিমাণ সংক্রমণ কমাতে সমর্থ হবে।
এসইউটিডি’র গবেষণায় সাসেপটিবল-ইনফেক্টেড-রিকভার্ড বা এসআইআর মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। এ মডেল অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমার আভাস দিচ্ছেন গবেষকরা। তবে লকডাউন না মানলে এই আভাস কাজ করবে না বলে মতামত দিয়েছেন বাংলাদেশের মনোবিজ্ঞানীসহ বিশ্লেষকরা।
এসইউটিডি’র গবেষকরা জানান, বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করে এই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে এ তথ্য নিয়মিত পরিবর্তিত হতে পারে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যগুলো কেবল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য। এর যথার্থতায় অপারগতা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে। পরবর্তিতে বাস্তব চিত্রের সাথে এর মিল নাও থাকতে পারে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চললে এসইউটিডি’র গবেষণা ফলাফলের বাস্তব রূপ দেখা সম্ভব। তাদের মতে, লক ডাউনে ঘরে অবস্থানের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। সব কাজ কর্ম আগের স্বাভাবিক নিয়মেই করতে হবে, তবে ঘরে থেকেই।