সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র- সিডিসি’র আভ্যন্তরীণ একটি নথি অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট জলবসন্তের (চিকেন পক্স) মতোই সংক্রামক, যা গুরুতর অসুস্থতার কারণ। প্রতিবেদনটির সূত্র ধরে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস ও বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এমনকি ভ্যাকসিন পাওয়া মানুষ কতটুকু সুরক্ষিত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্রতিবেদনটি। এর ফলে মাস্ক নিয়ে সিডিসি’র নির্দেশনায় পরিবর্তনও আসতে পারে। কারণ এতে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন পেয়েছেন এরকম মানুষ ভ্যাকসিন না নেওয়া মানুষদের মতো একই হারে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারেন।
বলা হচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মার্স, সার্স, ইবোলা, কমন কোল্ড, সিজনাল ফ্লু এবং স্মলপক্স ভাইরাসের চেয়েও বেশি ছেঁয়াচে।
সিডিসি’র পরিচালক রোশেলে ওয়ালেনস্কি জানিয়েছেন, এই গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, ভ্যাকসিন নেয়া ব্যক্তির গলা ও নাকে বিপুল পরিমাণ ভাইরাস থেকেই যাচ্ছে।
এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে যারা এখনও ভ্যাকসিন নেননি, তাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্তের হার বাড়ছে।
গত মঙ্গলবার ওয়ালেনস্কি ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছেন এরকম মানুষদের জন্য একটি পরিবর্তিত স্বাস্থ্য নীতিমালা প্রকাশ করেন, যা বিতর্ক তৈরি করছে। তিনি জানান, ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়া শেষ করেছেন এরকম মানুষও ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে ভ্যাকসিন যা করছে তা হলো, তিনি গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন না, এমনকি হাসপাতালেও তার যাওয়া লাগছে না। কিন্তু ভাইরাস তিনি অন্য সাধারণদের মতোই ছড়াচ্ছেন।
ফলে ভ্যাকসিন পাওয়া ব্যক্তিকে ঘরের ভেতরেও মাস্ক পরার পরামর্শ সিডিসি’র। এর আগে, টিকা পাওয়া ব্যক্তির ঘরের ভেতরে মাস্ক পরে থাকার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
ওয়ালেনস্কি’র এই পরিবর্তিত নীতিমালা সমর্থনের সুবিধার্থে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশের কথা রয়েছে সিডিসি’র।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অন্যান্য কর্মী এবং দর্শণার্থীদের সবাইকে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হবে। ওয়ালেনস্কি বলেন, ‘এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের অনেক কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।’