হেলথ ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। অভিযোজনের মাধ্যমে এই ভাইরাসও হচ্ছে শক্তিশালী, আরও বেশি প্রাণঘাতী। বর্তমানে এর সবচেয়ে ভয়ানক রূপ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতে আমাদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে অভ্যস্ত হতে হবে।
করোনা থেকে বাঁচার উপায়
১. কখন হাত ধোবেন
- হাঁচি, কাশি ও নাক ঝাড়ার পর
- খাবার খাওয়া বা খাবার প্রস্তুত করার আগে
- দরজার হ্যান্ডেল ও ফ্যান, লাইটের সুইচের মতো আরও বহু ব্যক্তির স্পর্শ স্থান ধরার পর
- রান্নাঘর ও বাথরুমের মতো শেয়ার করা জায়গাগুলোর সংস্পর্শে আসার পর
- বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর
২. কোথায় স্পর্শ করবেন না
নিজের চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। মুখ স্পর্শ করার প্রয়োজন হলে (যেমন, আপনার মুখের আবরণী পরা বা খুলে রাখা) আগে ও পরে আপনার হাত ধুয়ে ফেলুন বা স্যানিটাইজ করুন।
৩. আপনি কাশি বা হাঁচি দেয়ার নিয়ম
হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় ডিসপোজেবল টিস্যু দিয়ে নিজের মুখ ও নাক ঢেকে রাখুন। টিস্যু না থাকলে নিজের কনুইয়ের ভাঁজে হাঁচি দিন এবং পরে তা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহৃত টিস্যু আবর্জনার ব্যাগে ফেলুন এবং অবিলম্বে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন যেভাবে
অন্যদের কাছ থেকে নিজেকে কমপক্ষে এক মিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনভাবে ভিড় এড়িয়ে চলুন। কারণ ভিড়ের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংস্পর্শে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি এবং অন্যদের থেকে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হয় না।
৫. নিয়ম মেনে মাস্ক পরুন
করোনাভাইরাস থেকে প্রাথমিকভাবে সার্বক্ষণিক সুরক্ষা দেয় মাস্ক। তাই সচেতনতার সাথে নিয়ম মেনে এর ব্যবহার জরুরি। এর জন্য যা যা করতে হবে-
- মাস্ক নাকের নিচে নামাবেন না
- থুতনি উন্মুক্ত রাখবেন না
- মাস্ক টেনে থুতনির নিচে নামাবেন না
- মাস্ক পরার সময় এর কাপড় স্পর্শ করবেন না
- ঢিলাঢালা মাস্ক পরবেন না
- ময়লা, নষ্ট বা ভেজা মাস্ক পরবেন না
৬. টিকা নিন
এখন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের সকল নাগরিককেই ভ্যাক্সিন প্রদান করা হচ্ছে। অনলাইনে নিবন্ধন করে টিকা কার্ড সংগ্রহ করুন।
নিবন্ধনের সময় নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) এবং মোবাইল সাথে রাখুন।
৭. কোভিড-১৯ এর লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সাধারণ উপসর্গ মাথাব্যথা, গলাব্যথা আর নাক দিয়ে সর্দি পড়া। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এনএইচএসের মতে, সাধারণত কোভিডের যে উপসর্গ দেখা যায়, তা হলো- কাশি, জ্বর ও স্বাদ-গন্ধ না পাওয়া।
অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা, রাতে ঘুম না আসা এবং পেশি ব্যাথা।
বেশিরভাগ সুস্থ-সবল মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে হালকা অসুস্থতা বোধ করেন। তা হালকা হলেও বাসায় অবস্থান করুন। করোনা টেস্ট করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।