সাইকোহলেথ নিউজ ডেস্ক
শনিবার টুঙ্গিপাড়া থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফেরার সময় নিজের চোখে পদ্মাসেতুর পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
সেতুর সবশেষ স্প্যান বসে ডিসেম্বরে। যুক্ত হয় পদ্মার এপার ওপার। প্রতিদিন দেশের হাজারো মানুষ সেতু দেখতে গেলেও এতদিন তা দেখা হয়ে ওঠেনি এর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
করোনা মহামারির কারণে গত একবছর ঢাকার বাইরে যাননি প্রধানমন্ত্রী। সবশেষ স্প্যান বসার পর পদ্মা সেতুর পূর্ণাঙ্গ রূপও নিজের চোখে দেখা হয়ে ওঠেনি তাঁর।
মুজিব শতবর্ষ আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে আসা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গোপালগঞ্জ সফর উপলক্ষে শনিবার সকালে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়ায় যান শেখ হাসিনা। ঢাকায় ফেরার পথে হেলিকপ্টার থেকে সেতুর মোহনীয় রূপ উপভোগ করেন দুই বোন।
দেশের এতএত টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজ আর ছবি থাকতেও একবারে বালিকার উচ্ছ্বাসে নিজের মোবাইলে সেতুর ছবি তোলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
২০১২ সালে প্রমাণহীন দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এই সেতুর অর্থায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। পরে প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে নিজেদের টাকায় সেতু বানানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর তাতে যুক্ত করেন রেল সংযোগ। আর গত ১০ ডিসেম্বর সবশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে মিলন ঘটে প্রমত্তা পদ্মার দুই পারের।
কয়েক দফা সংশোধনের পর পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট খরচ দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এই সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার মতোই এখন বাস্তব। পদ্মার সর্বনাশা ঢেউ আর আটকাতে পারবে না এদেশের অগ্রযাত্রা।
এই সেতু কেবল দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন আর অগ্রগতির প্রতীক হয়ে থাকবে না, মাথা উঁচু করে বিশ্বকে জানাবে বাংলাদেশের আত্মসম্মান, মর্যাদা এবং অহংকারের কথা। অনন্তকাল স্বাক্ষী হয়ে থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর তেজদীপ্ত মেয়ে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব, সততা আর সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে।