সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
রায়া একজন বিশেষ শিশু। ভিডিও চ্যাটে একজন শিশুর সঙ্গে একই ফ্রেমে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্ধারিত কোন অনুষ্ঠান কিংবা পূর্ব পরিচয় নয়, বিশেষ ইচ্ছা পূরণের জন্যই রায়া নামের এই শিশুটিকে সারপ্রাইজ ভিডিও কল দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, এক ভিডিও বার্তায় রায়া জানিয়েছিল, তার ইচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ভিডিও কল করবেন। এজন্যে প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকে সে। এই ভিডিও প্রকাশের এক দিনের মাথায় সত্যিই প্রধানমন্ত্রী নিজে তাকে ভিডিওকল করেন। তার সঙ্গে গল্প করেন। শোনেন রায়ার কবিতা আবৃত্তি। বেশ কিছু সময় ধরে গল্পও শুনেছেন রায়ার কাছ থেকে।
রায়ার মা নাবিহা রহমান পিংকী জানান, এটা তার মেয়ে রায়া ও তার জন্য ছিল অবিশ্বাস্য। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় তার মোবাইল ফোনে ভিডিও কল করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একটি শিশুর ইচ্ছে পূরণে একজন সরকারপ্রধানের এমন ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পিংকী।
হঠাৎ পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কলে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন নাবিহা রহমান পিংকী। কিন্তু ওপাশের আন্তরিক আচরণে তার মনেই হয়নি তিনি সরকারপ্রধানের সঙ্গে কথা বলছেন। মনে হচ্ছিল মা কিংবা ফু্পির সঙ্গে কথা বলছেন পিংকী। ভিডিও কলে রায়া প্রধানামন্ত্রীকে জাতীয় সংগীত গেয়ে শুনিয়েছে। রায়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান।
একদিন আগে রায়ার স্কুল শিক্ষক হাসিনা হাফিজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রায়া কথা বলতে চায়, এমন বার্তা সম্বলিত একটি ভিডিও পোস্ট করেন অটিজম ম্যানেজমেন্ট সেন্টার নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে। সেখানে রায়া বলেন, সে প্রধানমন্ত্রীকে খুব ভালোবাসে ও তাঁর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে চায়।
ভিডিওতে শিক্ষিকা হাসিনা হাফিজকে বলতে দেখা যায়, তিনি প্রতিদিন সকালে রায়াকে প্রধানমন্ত্রীর একটি করে ছবি ইনবক্স করেন। প্রধানমন্ত্রী তার দাপ্তরিক ব্যস্ততার কোনো এক ফাঁকে রায়ার ইচ্ছে পূরণ করবেন বলেও শিক্ষক হিসেবে আবেদন করেন তিনি।