হেলথ ডেস্ক
আজ ২১ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব অ্যালঝেইমার দিবস। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিমেনশিয়াকে জানুন এবং অ্যালঝেইমারকে চিনুন’। তবে পুরো সেপ্টেম্বরই অ্যালঝেইমার সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হবে। আসুন, জেনে নিই এই রোগ সম্পর্কে।
অ্যালঝেইমার কী
অ্যালঝেইমার একটি ক্রনিক রোগ, যা মস্তিষ্ককে আক্রমণ করে এবং ধীরে ধীরে কর্মদক্ষহীন করে ফেলে। এই প্রক্রিয়া ৫ থেকে ২০ বছর ধরে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে রোগী খাওয়া, গোসল ও বাথরুমসহ সব কিছুর জন্য সার্বক্ষণিক অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
অ্যালঝেইমার রোগের লক্ষণ
ভুলে যাওয়া
কথাবার্তার খেই হারিয়ে ফেলা
সঠিক শব্দের উচ্চারণ বা নাম খুঁজে না পাওয়া
চেনা মুখ, চেনা জিনিস দেখেও নাম মনে করতে না পারা
ঘটনার মধ্যে থাকলেও, ঠিক কোথায়, কখন, কী হলো তা ঠিকমতো বলতে না পারা
দৈনন্দিন কাজের জায়গায় ঘন ঘন ভুল
গ্যাস জ্বালিয়ে রেখে ভুলে যাওয়া
লাইট/ফ্যাসের সুইচ অফ না করেই চলে যাওয়া
দাঁত ব্রাশের কথা ভুলে যাওয়া
খেয়ে মুখ না ধোওয়া
চশমা, চাবি, মোবাইল কোনো স্থানে রেখে ভুলে যাওয়া
সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা
কাজ এড়িয়ে যাওয়া
অপ্রয়োজনীয় কথা যেখানে সেখানে বলে বসা
কখনো কখনো অভিব্যক্তি প্রকাশে অক্ষম
লোকজনের সাথে কম মিশতে চাওয়া বা এড়িয়ে যাওয়া
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখানো
সন্দেহবাতিক
রোগের কারণ
- বংশগত কারণ, যেমন- বাবা-মা অথবা ভাই-বোন কারো অ্যালঝেইমার থাকলে
- রক্তে কোলেস্টেরল এবং হোমোসিস্টিনের পরিমাণ বাড়লে
- অতিরিক্ত ওজন, হাইপার থাইরয়েডিজম, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস
- ব্রেইন ইনজুরি
- বিষণ্ণতা
চিকিৎসা
চিকিৎসায় অ্যালঝেইমার সারে না। তবে সময় মতো সর্তক হলে এবং যথাযথ চিকিৎসা করালে তা ভালো থাকতে সাহায্য করে। এই চিকিৎসা কেবল রোগী নয়, বরং তার বাড়ির লোকজনের ওপর থেকেও স্ট্রেস কমাতে পারে।