১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গণহত্যার বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করে বিচার চেয়েছে ভারত।
দি ইকোনোমিক টাইমস জানায়, চলতি বছর ‘প্রটেকশন অব সিভিলিয়ানস ইন আর্মড কনফ্লিক্ট: ওয়ারস ইন সিটিজ – প্রটেকশন অব সিভিলিয়ানস ইন আরবান সেটিংস’ এর ওপর আয়োজিত নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম উন্মুক্ত বিতর্কের অংশ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস তিরুমূর্তি সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় শাসকগোষ্ঠীকে দোষারোপ করেছেন।
তিরুমূর্তি বলেন, ‘ভারত ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার বিচার চাইছে। ওই ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ লোককে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের কয়েকটি উদ্যোগ সত্ত্বেও, এখনো আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তান সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হয়নি।’
তিনি বলেন, অন্যান্য অনেক দেশও বেসামরিক মানুষের সুরক্ষার কথা বিবেচনা না করেই সামরিক অভিযান চালিয়েছে অথবা ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গনহত্যার (বর্তমানে বাংলাদেশ) মতো ইচ্ছাকৃতভাবেই বেসামরিক মানুষের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।
তিরুমূর্তি ইউএনএসসি’কে ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার কথাটি স্মরণ করিয়ে দেন। ওই ভয়াবহ হামলায় ১৫টির বেশি দেশের ১৬৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। তিনি আরো বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত ভারত সব সময় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী প্রচেষ্টায় সম্মুখভাগে থেকেছে।’
তিরুমূর্তি বলেন, সশস্ত্র সংঘাতগুলোকে অবশ্যই জাতিসংঘের শর্ত অনুয়ায়ী আন্তর্জাতিক আইন ও নীতির আলোকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় মীমাংসা করতে হবে।
সূত্র: বাসস