ফারজানা চৌধুরী, ডিভিশনাল করেসপনডেন্ট
করোনাভাইরাস যশোরের গ্রামগুলোতে বেশি ছড়িয়েছে। গত ২ মাসে জেলায় যারা মারা গেছে, তাদের অধিকাংশের বাড়ি গ্রামে। অথচ করোনার প্রথম দিকে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল শহরেই বেশি।
করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে জেলায় নতুন করে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন হলেন শার্শা উপজেলার গোগা গ্রামের বাদল চৌধুরীর ৫০ বছর বয়সী স্ত্রী সবিতা রানী, অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিরপাশা গ্রামের ৬০ বছর বয়সী বাসিন্দা মকবুল মল্লিক এবং ৬৮ বছর বয়সী বিষ্ণুপদ।
এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত দু’জন হলেন যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮) ও বাঘারপাড়া উপজেলার আগড়া গ্রামের নুরজাহান বেগম (৭০)।
গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ৪৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়োছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৬ জনের। শনাক্তের হার ৪৮.৬৫ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৯৫২ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, করোনা রোগীর চিকিৎসায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে বাড়ানো হয়েছে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংথ্যাও।
যশোর সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, হাসপাতালে দিন দিন করোনা রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য এখানে আরও ২৪ বেডের একটি ওয়ার্ড সংযোজন করা হচ্ছে। করোনা রোগীদের দেখা শোনার কাজেবেসরকারি সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশন এগিয়ে এসেছে বলেও জানান তিনি।
সিভিল সার্জন আরো জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই। সাধারণ মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ মেনে চলে, সরকারি নির্দেশনা মেনে চলে, সবাই যদি মাস্ক পড়ে, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলে, তাহলে অবশ্যই যশোরে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।