শামীমা খাতুন
ঘরে বসেই মজাদার ল্যাংচা তৈরি করুন।
ল্যাংচা তৈরি র উপকরণ:
ল্যাংচা তৈরির জন্য প্রয়োজন:
- ফুলক্রিম মিল্ক পাউডার- ১ কাপ
- ময়দা- ১/৩ কাপ
- চিনি- ১ চামচ
- ঘি- দেড় টেবিল চামচ
- বেকিং পাউডার- ১/২ চামচ (নতুন হলে) অথবা ১ চামচ -(পুরাতন)
- তরল দুধ- ৩ টেবিল চামচ
- ফেটানো ডিম- ৩ টেবিল চামচ
- পরিমাণ মতো তেল (ভাজার জন্য)
শিরার উপকরণ:
- চিনি-২ কাপ
- পানি- ৪ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী:
মিল্ক পাউডার, ময়দা, চিনি, বেকিং পাউডার, ঘি একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণের মধ্যে অল্প অল্প তরল দুধ ও ফেটানো ডিম মিক্সড করতে হবে, যেন খামিরটা খুব বেশি শক্ত অথবা খুব বেশি পাতলা না হয়, যখন একটা আঠালো ভাব হবে এবং হাতে লেগে যাচ্ছে এমনটা হলে বুঝতে হবে খামির মিষ্টি তৈরির জন্য পারফেক্ট। এ পর্যায়ে খামিরটা ১০ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখতে হবে।
এবার শিরা তৈরির জন্য চুলায় হাড়ি বসিয়ে তার মধ্যে ২ কাপ চিনি ও ৪ কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে ২ মিনিট ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। শিরা যেন ঘন না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবার খামিরটাকে একই পরিমান ছোট ছোট বলে ভাগ করে নিয়ে দু’হাতের তালুতে নিয়ে লম্বা শেপ দিতে হবে। ল্যাংচার আকার লম্বাই হয়, কিন্তু এই খামির দিয়ে গোলাপজাম করতে গেলে শেপ গোল আকৃতির দিতে হবে।এই পরিমান উপকরণে মিডিয়াম ল্যাংচা ১০-১১ পিস হবে। সবগুলো ল্যাংচা রেডি হয়ে গেলে চুলায় সসপ্যানে পরিমাণ মতো তেল হাল্কা আঁচে গরম করতে হবে।
আংগুল ডুবানো এমন পর্যায়ে এলে ল্যাংচাগুলো ডুবো তেলে ভাজতে হবে সময় নিয়ে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মিষ্টি তলায় লেগে না যায়। মিষ্টিগুলো যখন ফুলে ভেসে উঠবে তেলে তখন চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। গাঢ় সোনালি রঙ ধারণ করলে মিষ্টিগুলো তেল হতে তুলে কিচেন টিসু দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে তেল শুষে নেবার জন্য। ৫/৭ মিনিট এভাবে রেখে দিন।
অন্য চুলায় শিরাটাকে আবার ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার ফুটন্ত শিরায় মিষ্টিগুলো দিয়ে ফুল আঁচে ১০ মিনিট রাখতে হবে। মাঝে মধ্যে ঢাকনা খুলে লম্বা হাতা দিয়ে মিষ্টিগুলো নেড়েচেড়ে দিতে হবে। এ পর্যায়ে মিষ্টিগুলো অনেক নরম থাকবে, ভয় পাবার কিচ্ছু নেই। হাড়ি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে মিষ্টি পাত্রে তুলে নিতে হবে।
হয়ে গেল ইয়াম্মি মজাদার কেমিক্যাল মুক্ত ল্যাংচা।
নোটঃ গরম ভাজা মিষ্টিগুলো সংগে সংগে শিরায় না দেওয়াই ভালো। চুপসে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
ল্যাংচা তৈরি সম্পর্কে আরো জানতে: ক্লিক করুন
লেখক: শামীমা খাতুন, সাইকোলজিস্ট, ময়মনসিংহ