সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশকে শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাকুঞ্জে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশে শান্তি রক্ষায় প্রস্তুত বাংলাদেশ।
গণভবন থেকে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের সাথে কথা বলেন। পেশাদারিত্ব ও সততা বজায় রেখে সব বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যাতে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে শান্তিরক্ষাসহ ভূমিকা রাখতে পারেন, সে লক্ষ্যে তাদের প্রস্তুত করা হয়েছে। বিদেশের মাটিতে দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের নির্দেশনাও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে শান্তি মিশনে দায়িত্বপালন করতে গিয়ে নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিবারের সদস্য ও আহত শান্তিরক্ষীদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
জীবন বাজি রেখে সংঘাতপ্রবণ ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশে শান্তিরক্ষা, অবকাঠামো নির্মাণ আর চিকিৎসায় অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী। ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে নিজেকে উৎসর্গও করেছেন অনেকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরাও।
তাদের সেই অবদানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করার দিন আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। প্রতিবছর ২৯ মে যা পালিত হয়ে আসছে ২০০৩ সাল থেকে। বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষার কাজে শীর্ষে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। ৯টি মিশনে এখন কাজ করছে এদেশের ৬ হাজার ৭৪২ সদস্য।
অসামান্য দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে তাঁরা নিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে প্রশংসা আর মর্যাদার স্থানে। অর্জন করেছেন অজানা, অপরিচিতদের প্রাণঢালা ভালোবাসা। সম্মান ও মর্যাদার পাশাপাশি এদেশের অর্জন বড় অংকের রেমিটেন্স।
১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে সর্বপ্রথম জাতিসংঘের পতাকাতলে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ সদস্য। এরপর ১৯৯৩ সালে মিশনে যুক্ত হন নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। তার আগে ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘ পরিবারের সদস্য হয় বাংলাদেশ পুলিশ।
সবমিলিয়ে কঙ্গো, মালি, সুদান, সাউথ সুদান, সাহারা, লেবানন, হাইতি, পূর্ব তিমুরে শান্তি-শৃঙ্খলার উজ্জ্বল প্রতীক এখন বাংলাদেশ। গত ৩২ বছরে এসব দেশে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন এদেশের ১৫৯ জন শান্তিরক্ষী। আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে সেই সব বীরদের প্রতি সাইকোহেলথ পরিবারের শ্রদ্ধা।