সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
স্কুল শিক্ষার্থী শিশুদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক টিকা কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুরুতে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, এসকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ এবং গড়পাড়া জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। ১৫ দিন তাদের পর্যবেক্ষণণ করা হবে। এরপর ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টিকা গ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য শিশু শিক্ষার্থীদের আলাদা কক্ষে এক ঘণ্টা করে রাখা হয়। জাহিদ মালেক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ফাইজারের টিকা শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। এটি নিরাপদ।
টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষামূলক কর্মসূচির পর সারা দেশে ২১টি স্থানে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। রাজধানীতে বিশাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হবে। দেশে এক কোটির বেশি শিশু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শিশুকে টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
সরকারের হাতে বর্তমানে ৬০ লাখ টিকা আছে, যা ৩০ লাখ শিশুকে দেওয়া যাবে। টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবারও বলেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সময়মতো টিকা পেলে এপ্রিলের মধ্যেই ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব। করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং সারা পৃথিবীতে ২৬তম বলেও জানান মন্ত্রী।
শিশুদের টিকা কর্মসূচি উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মীরজাদী সেব্রিনা, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) মো. বেলাল হোসেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান উপস্থিত ছিলেন।