সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
শিল্প কারখানা খোলা রেখে বুধবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শপিংমল ও দোকানপাট, ট্রেন, লঞ্চ এবং বিমানের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। জুমা ও তারাবির নামাজের বিষয়ে নির্দেশনা দেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ দফা নির্দেশনার বাইরে থাকছে আইন-শৃংখলা বাহিনী, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি, ফায়ারসার্ভিস, গণমাধ্যম, বন্দর, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসহ জরুরি সেবা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিল্প কারখানা খোলা রাখা যাবে। তবে, ঐসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবহন ব্যবস্থা সংশিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিত করতে হবে।
এই সময় ওষুধ জরুরি প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়, চিকিৎসা এবং মৃতদেহ সৎকার অথবা দাফনের মতো জরুরি কাজে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নেয়ার জন্য যাতায়াত করা যাবে।
হোটেল রেস্তোরা দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং রাত ১২ থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে। তবে রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া যাবে না।
কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সারাদেশের জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
মাঠে থাকবে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেউ এসব নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপণে।