সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, কে কী বলছেন

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে কূশল বিনিময় করতে দেখা যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। এই ঘটনাকে উৎসাহব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন সবাই।

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত। সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪’।

বেশ কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। ছবিতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকেও দেখা যায়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে নিজের বাসভবন ফিরোজা থেকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সর্বশেষ তিনি ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও সেনাকুঞ্জে দেখা গেল তাঁকে।

তথ্য উপদেষ্টা তার ফেসবুক পোস্টে একই ছবি দিয়ে বলেন, ‘মুক্ত খালেদা জিয়া ও সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম অর্জন’। রাত ৯টার দিকে তিনি এই পোস্ট করেন।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত সম্মান দেওয়ায় সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত জনপ্রিয় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফাহাম আব্দুস সালাম। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‌‌‌’আজকে বেগম জিয়ার ছবিগুলো দেখে মন ভরে গেলো। জিনিসটা আজকের দিনে বোঝানো কঠিন’।

ফাহাম বলেন, ‌’উনি যেই ওল্ড ওয়ার্ল্ডের মানুষ – এর খোঁজ আমার আছে। যখন “ভদ্রমহিলা” বলতে কিছু মীন করা হতো – তিনি সেই কালের মানুষ। আমার মা-বাবাদের প্রজন্মে এই জিনিসটা ছিলো। তার আগে তো ছিলোই’।

তিনি লেখেন, ‌‌’ওনার যে অদম্য স্পিরিট, যেই নিশ্চুপ কম্পোজার, যেই অবিচল দেশপ্রেম – এর কোনো তুলনা আমি পাইনি জীবনে। এতো অত্যাচারের পরেও ওনাকে বাঁকানো যায় নাই। তাকে জেলে ভরা গিয়েছিলো – কিন্তু তাঁর আত্মসম্মানকে না। এমন মহিলা আমি বাংলাদেশে আর একজনকে পাইনি’।

ফাহাম আরও বলেন, ‌’এই মানুষটা বাংলাদেশের জন্য যেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন জীবনে – সত্যিই তুলনারহিত। আজকে ওনাকে যেই সম্মান দেখানো হোলো – এটা দেখে সন্তুষ্ট হলাম। মনে হোলো একটা অবিরত ভুল কিছুটা শোধরানো গেলো, সম্ভ্রম রক্ষা হোলো। এমন দিনে আমার ভালো লাগে। বাংলাদেশের সরকারকে ধন্যবাদ’।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়েন খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রীয় বল প্রয়োগের মাধ্যমে তাকে উচ্ছেদ করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে তাকে প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে’।