অগ্নিকাণ্ডে করোনা আইসিইউ বন্ধ ঢামেক হাসপাতালে

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে আগুন লাগে। ওই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়।

তবে ওই রোগীদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। অবশ্য তাদের কারও মৃত্যু আগুনে হয়নি।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এ কথা জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আইসিইউ’র বেড প্রতি খরচ প্রায় ২০ লাখ টাকা। যদি ১০ লাখ টাকা করেও ধরি তাহলে সবমিলে এতে ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক প্রায় দুই কোটি টাকা। এই আইসিইউ এই মুহূর্তে চালানোর মতো অবস্থা নেই।

ঘটনা তদন্তের পর নতুনভাবে, আরও উন্নত করে এই আইসিইউ চালু করা হবে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ।

নাজমুল হক বলেন, করোনার জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই আইসিইউতে বেড ১৪টি। তাতে ১৪ জন রোগীই ছিলেন।

তাদের সবাইকে আলাদা ১০ বেডের একটি আইসিইউ আছে সেখানে ও মানসম্পন্ন কিছু এইচডিইউ আছে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। কেউ কিন্তু আগুনে মারা যাননি। স্থানান্তরের পর অনাকাঙ্ক্ষিততভাবে তিন রোগী মারা যান।

তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের করোনার ব্যাপক কার্যক্রম। বলা যায় সারা দেশের করোনা আক্রান্ত অর্ধেক রোগীর চাপ সামলাই আমরাই। আমাদের মোট আইসিইউ ২৪ বেডের। এর মধ্যে ১৪ বেডের আইসিইউতে আগুন লাগে। এছাড়া আমাদের রয়েছে মানসম্পন্ন এইচডিইউ।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিইউ সম্পর্কে নাজমুল হক বলেন, এই আইসিইউ কিন্তু চালু করা হয় বিশেষ প্রয়োজনে। এটা চালু করার পর ২৪ ঘণ্টা আমাদের এর প্রেসার সামলাতে হচ্ছে। একটা বেড ১০ মিনিটও খালি থাকে না। আমাদের হাসপাতালে এই মুহূর্তে ৫৩৩ জন রোগী রয়েছে করোনার।

আমাদের অনুরোধ থাকবে, ক্ষতিগ্রস্ত এই আইসিইউ যখন আবার চালু করা হবে তখন যেন দেখে শুনে বুঝে চালু করা হয়।

২৪ ঘণ্টার পারফরমেন্স, সার্বক্ষণিক সক্ষমতা, স্ট্যাবিলিটি যেন ঠিক থাকে, প্রত্যেকটি মেশিন যেন ঠিক থাকে, সে ধরনের স্টাফ যেন রাখা হয়, সেজন্য ভালো ও অত্যাধুনিক একটি আইসিইউ যেন চালু করা হয়।

সেটা আমরা স্বাস্থ্য ডিজি, সচিব ও মন্ত্রীকে জানিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

যতটা দ্রুত সম্ভব স্ট্যাবল একটি আইসিইউ আমরা তৈরি করব। যেহেতু কোভিডের চাপ রয়েছে, সেজন্য আমরা এটা যতো দ্রুত সম্ভব চালু করব। 


কোডিভের রোগী ফের বাড়ছে। ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউ’র চাহিদাও অনেক। তাহলে এই ক্ষতির চাপ কীভাবে সামলাবেন জানতে চাইলে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে চাপ সামলাতে আইসিইউ দরকার।

আমাদের বাকি যে ১০ বেডের আইসিইউ আছে সেটা মূলত সার্জারি আইসিইউ। ওটার কিছু বেড খালি থাকত। সেখানে আমরা মেডিসিনের রোগীদের পাঠাচ্ছি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।