সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
এ যেন আরেক নিমতলী বা তাজরিন গার্মেন্টস ট্রাজেডি। মানুষের পোড়া লাশের সারি আর স্বজনদের আহাজারি। এটা রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানার সবশেষ পরিণতি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই কারখানার ভেতর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানা ভবনের উপরের তলায় প্লাস্টিকসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় ১৮ ইউনিট দিয়েও আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
কারখানা ভবনে আগুনের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেলে। খবর পেয়ে তা নেভাতে যায় ফায়ার সার্ভিস। একে একে যোগ দেয় ১৮টি ইউনিট। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র যে তা রাতভর চেষ্টা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার দুপুরেও ভবনের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় আগুন জ¦লতে দেখা যায়। তবে তৃতীয় তলা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসায় ভেতরে তল্লাশি চালান ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরপরই একে একে উদ্ধার করা হয় পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যাওয়া মরদেহ।
দমকল কর্মকর্তারা জানান, কারখানা ভবনের উপরের তলাগুলোয় প্লাস্টিকসহ বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থের মজুত ছিল। ভবন থেকে ছাদে ওঠা এবং বের হওয়ার দরজা ছিল তালাবদ্ধ।
অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে ২০ জন ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৮ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউস্টিটিউটে চিকিৎসা নেন।