শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং বন্ধে হাইকোর্টের রুল

হাইকোর্ট

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে নীতিমালা করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সম্প্রতি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আজওয়াদ আহনাফ করিম বুলিংয়ের শিকার হয়েছিল কি-না, তা তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার মাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হয় অনেকে। বিশেষ করে দুর্বল ও সংকোচ চিত্তের মানুষের ওপর সহজেই চড়াও হয় বুলিংকারী সহপাঠী বা সহকর্মী।

রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আজওয়াদ আহনাফ করিম সহপাঠী ও শিকক্ষদের বুলিংয়ের শিকার হয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। গত ১৬ আগস্ট এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

প্রাথমিক শুনানি শেষে রুলসহ তদন্তের আদেশ দেন আদালত। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও খামখেয়ালিপনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

এর আগে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর বুলিং ও শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় নির্ণয়ে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে একটি খসড়া নীতিমাল তৈরি করে হাইকোর্টে জমা দেয় হয়া হয়। যা এখন চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায়।

বিবিসি বাংলার এক সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর খবর জানায়। এতে তার পরিবার অভিযোগ করে, স্কুল সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিংয়ের শিকার হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্ট কয়েক হাজার মানুষ শেয়ার করেন, যাদের প্রায় সবাই বডি শেমিং, বুলিয়িংয়ের মতো নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আহনাফের বাবা মো. ফজলুল করিম জানান, স্বাভাবিকের চাইতে ওজন বেশি হওয়ায় স্কুলে তার ছেলেকে প্রায়ই বুলিং ও উপহাসের শিকার হতে হতো। কিন্তু স্কুলে কখনও এ নিয়ে অভিযোগ জানাননি তারা। এখনও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও অভিযোগ জানাতে চান না। তবে পরিবার চায়, স্কুলে বুলিং বন্ধে সরকার যেন ব্যবস্থা নেয়।

পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তবে সেই নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।