হেলথ ডেস্ক
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটি ডোজসহ প্রতি মাসে প্রায় দুই কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম টিকাদান পরিকল্পনা নিয়ে ফেসবুক লাইভে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা মজুত রয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও পর্যাপ্ত টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, টিকাদান কর্মসূচিকে কীভাবে বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তিনি আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা অডিটরিয়াম ও উপজেলার কোনো বড় হলরুমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত টিকাদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাদান করা হবে।
সপ্তাহে দু’দিন (যেদিন- নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি থাকবে না) এসব স্থানে করোনা টিকা দেওয়া হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা করোনা টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে ইউনিয়ন প্রতি একটি ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র নির্বাচন করবেন।
ওই এলাকার বাসিন্দারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন এবং মোবাইলে এসএমএস প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নেবেন। আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করে মোবাইলে মেসেজ দেবে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক আরও জানান, শিশুদের করোনা টিকাদানের বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। এ ব্যাপারটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কীভাবে দ্রুততম সময়ে শিশুদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা যায় সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি প্রবাসী কর্মীরা। প্রবাসী কর্মী ও শিক্ষার্থীসহ বিদেশগামীদের জন্য সুনির্দিষ্ট টিকাদানের লক্ষ্যে টিকার সংগ্রহ ও টিকাদান কার্যক্রম চলছে।