সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্সই’ এর সন্ধান মিলেছে আমাদের প্রতিবেশ দেশ ভারতে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের চেয়ে ১০ গুণ বেশি মারাত্মক হতে পারে।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক রোগীর শরীতে করোনা ভাইরাসের এক্সই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্সই স্ট্রেইন মূলত করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টেরই মিউটেড বা অভিযোজিত রূপ।
তারা বলছেন, এক্সই’র সংক্রমণ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি। প্রাথমিক উপসর্গ থেকে জানা যাচ্ছে, এটি অন্যান্য ওমিক্রন মিউটেড স্ট্রেইনগুলোর তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে, এক্সই হলো ওমিক্রনেরই আগের দু’টি সাব-স্ট্রেইন বিএ১ ও বিএ২ এর রিকম্বিনেশন। চলতি বছরে জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে করোনার স্ট্রেইনটি প্রথম শনাক্ত করা হয়।
এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছয়শ’রও বেশি রোগীর দেহে এর খোঁজ মিলেছে৷তবে আমাদের আশেপাশে কেবল ভারতের মুম্বাই নয়, সম্প্রতি এই ‘এক্সই’ ভ্যারিয়েন্ট থাইল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডেও শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিএ২ এর তুলনায় ১০ শতাংশ হারে সংক্রমিত হতে পারে এক্সই। তবে এখনো রোগের তীব্রতায় এক্সই’র গুরুতর লক্ষণের প্রমাণ মেলেনি।
করোনার এক্সই’র উপসর্গ অনেকের জন্য হালকা হতে পারে, আবার কারো জন্য গুরুতর হতে পারে। টিকা নেওয়ার সময় ও আগে করোনা সংক্রমিত হলে আগের প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কোভিড-১৯ ভাইরাসের লক্ষণ ও তীব্রতা ব্যক্তি অনুসারে বদলায়।
করোনার এক্সই’র উপসর্গগুলো কী কী?
- জ্বর
- গলা ব্যথা
- গলা খুশখুশে
- কাশি
- সর্দি
- ত্বকে জ্বালা ও বিবর্ণতা
- গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল যন্ত্রণা ইত্যাদি।
বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা গুরুতর হলে অন্য রকমের কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন- বুক ধড়ফড় করা, কখনো কখনো ভাইরাসটি গুরুতর স্নায়ুরোগের কারণও হতে পারে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া, জাগো নিউজ