সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
৭৬ বছরে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় তাঁর জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন নেছার ঘরে জন্মেছিলেন শেখ হাসিনা।
৭৫ বছরের জীবনে পার করেছেন নানা চড়াই-উৎরাই। শত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এ দেশকে ঘিরে বড় অর্জন তাঁর। জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ।
মধুমতী বিধৌত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনার শিশুকাল কাটে দাদা-দাদির কোলেপিঠে, চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে। শিক্ষা জীবনও শুরু হয় স্থানীয় পাঠশালায়।
১৯৫৪ সালে বাবা শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলে সপরিবার চলে আসেন ঢাকায়। এরপর এখানকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাটে শেখ হাসিনার শিক্ষা জীবন।
রাজনৈতিক পরিবার হওয়ায় সেসময় থেকেই পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন শেখ হাসিনা। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি আসে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ঘাতকদের বুলেটে বাবা-মাসহ স্বজনহারা হন শেখ হাসিনা। কিন্তু এতে থেমে থাকেনি জীবন।
ছয় বছরের প্রবাসজীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বাবার স্মৃতিবাহী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে পার করেছেন বহু চ্যালেঞ্জ, সংগ্রাম আর সংকট। বারবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসায় অনেকের কাছেই শেখ হাসিনা মৃত্যুঞ্জয়ী।
দেখেছেন সাফল্যের চূড়া। চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন দেশের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গৌরব অর্জন করেন টানা তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ব দরবারে নিজেও নেতৃস্থানীয়।
শুভ জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা সাইকোহেলথ নিউজ পরিবারসহ সবার।