সাইকোহেলথ ডেস্ক
জন্মের পর কিছু কিছু শিশুর কপালে বা শরীরের অন্য কোথাও লালচে দাগ দেখা দিতে পারে। সাধারণত “সারসের কামড়” (stork bite) নামক এক ধরনের জন্মদাগের কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে, যা ত্বকের নিচের রক্তনালীগুলোর কারণে ঘটে থাকে। এই দাগ সাধারণত কপাল, চোখের পাতা, নাকের ডগা বা ঘাড়ে দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি বিবর্ণ হয়ে যায় এবং প্রায়শই ১৮ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়।
কিছু ক্ষেত্রে, এটি “হেম্যানজিওমা” নামক অন্য এক ধরনের জন্মদাগও হতে পারে, যা দেখতে রাবারযুক্ত বা চ্যাপ্টা লাল দাগের মতো হয়।
জন্মদাগের কারণ ও বৈশিষ্ট্য
সারসের কামড় (Stork Bite): এটি ত্বকের নিচের বর্ধিত রক্তনালীগুলোর কারণে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কপাল, চোখের পাতা, নাকের ডগা এবং ঘাড়ের পিছনে দেখা যায়। শিশুটি কাঁদলে বা উত্তেজিত হলে দাগটি আরও বেশি স্পষ্ট হতে পারে। জন্মের ১৮ মাসের মধ্যে এটি সাধারণত সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়।
হেম্যানজিওমা (Hemangioma): এটি একটি উজ্জ্বল লাল জন্মচিহ্ন, যা দেখতে রাবারযুক্ত বাম্প বা চ্যাপ্টা লাল প্যাচের মতো হতে পারে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত রক্তনালী দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত জন্মের সময় বা প্রথম মাসের মধ্যে দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে এটি নিজে থেকে সারে না এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই ধরনের লালচে দাগ ক্ষতিকারক নয়। সময়ের সাথে সাথে নিজে থেকেই তা সেরে যায়। তবে, যদি দাগটি বড় হতে থাকে, ফুলে ওঠে বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।





