সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
ধর্ষণ প্রমাণে ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট মুখ্য নয় বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে বলা হয়েছে, পারিপার্শিক অবস্থা ও সাক্ষ্য বিবেচনায় নিয়ে ধর্ষকের সাজা দেয়া যাবে। সেই সাথে কোন ভুক্তভোগী দেরিতে মামলা করলে একে মিথ্যা বলা যাবে না।
ধর্ষণের মামলার সংজ্ঞায় বলা আছে, ‘মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া কোনভাবেই সাজা দেয়া যাবে না। ধর্ষণ মামলা প্রমাণ করতে তাই অন্যতম শর্ত মেডিকেল রিপোর্ট’। ফলে অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে এটা অন্যতম অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায়। যা ধর্ষিতার সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘শুধু ডাক্তারি পরীক্ষা না হওয়ার কারণে ধর্ষণ প্রমাণ হয়নি বা আপিলকারী ধর্ষণ করেনি, এমন অজুহাতে আসামি খালাস পেতে পারে না।’
২০০৬ সালে খুলনার দাকোপ থানায় তাসলিমা নামে ১৫ বছরের কিশোরী মামলা করতে যান। কিন্তু মামলা না নিয়ে সালিশের প্রস্তাব দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা। কিন্তু তাতেও পুলিশের চাপে হয়নি মেডিকেল পরীক্ষা। ওই মামলায় আসামি ইব্রাহীমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় নিম্ন আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে আসামি পক্ষ। আপিল আবেদনটি খারিজ করে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্টের বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর দ্বৈত বেঞ্চ। সম্প্রতি ওই রায়ের ১৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।