সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
অবসান হলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার। পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে দাঁড়ানো দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলো আজ। নিজেদের টাকায় নির্মিত এই সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য খুললো সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
দুপুরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম টোল দিয়ে ফলক ও মুরাল উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাস্তবে রূপ নিলো দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের স্বপ্ন।
পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেতু অতিক্রম করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা।
পরে জাজিরা প্রান্তে আরো একটি উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২২ দশমিক ৫ মিটার প্রস্তের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো ২০১৪ সালের নভেম্বরে।
বাঙ্গালীর অহংকার পদ্মা সেতুতে রয়েছে ৪১টি স্প্যান। যার ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার টন। সেতুতে লেনের সংখ্যা ৪টি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চীনের চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এটি নির্মাণ করে।
দ্বিতল এ সেতুর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন আর ভেতর দিয়ে যাবে ট্রেন। রোববারই শুরু হচ্ছে যান চলাচল। রেল চলাচল শুরু হবে আরও পরে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে রাজধানীর সরাসরি সড়ক নেটওর্য়াক গড়ে উঠলো।