সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
আজ ১০ অক্টোবর, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর এই দিনে নানা আয়োজনে পালিত হয় দিনটি। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দিন’।
এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে দিনটি পালন করা হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক অসুস্থতার মতোই যে কোন বয়সের মানুষ যে কোন সময় মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
এজন্যে মনের যত্ন নেওয়া ও প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরা। সবার মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদও দিচ্ছেন তারা।
করোনা পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে সুস্থ ও সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা চায় বিশ্ববাসী। হতাশা, বিষণ্নতা, অপ্রাপ্তি, অস্থিরতা আর একাকিত্ব মনোজগতে প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। তা সত্বেও নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের নেয় না বেশিরভাগ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-নাইনটিনের এর সময়ে ও এর পরবর্তীতে মানসিক রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। আত্মহত্যা আর অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পেছনেও মানসিক সমস্যাকে কারণ হিসেবে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
মানসিক রোগের কারণ ও সুচিকিৎসা বিষয়ক কুসংস্কার ও সামাজিক ভ্রান্ত ধারণা দূর করে স্বাভাবিক ও বাস্তব জীবনযাপনের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-২০১৯ এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ ঊর্ধ্ব) মানুষের মধ্যে ১৮ শতাংশেরও বেশি কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত এবং ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর (৭-১৭ বয়সী) মাঝে মানসিক রোগ শনাক্ত করা গেছে।
দেশে নারীদের মাঝে প্রতি ৫ জনে একজন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আসছেন না ৯১ শতাংশের বেশি মানুষ। অন্যদিকে, পুরুষের মাঝে মানসিক রোগ নিয়ে বেশি স্টিগমা ও নেতিবাচক ধারণা দেখা যায়। এমনকি সমস্যাগ্রস্ত কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আসার হার ২ শতাংশেরও কম।