সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত আড়াই হাজার বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আরো অন্তত দেড় হাজার বেড বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
সারাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক এবং পরিচালকদের সাথে অনলাইনে মতবিনিময়কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা জানান। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় অতি আত্মবিশ্বাসের পরিণতিতে ভয়ানক রূপ নিয়েছে এই মহামারি।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই বেড আর আইসিইউ সংকটে হাহাকার দেখা দিয়েছে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে। এ অবস্থায় এই মতবিনিময় সভা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, রাজধানীর কোনও হাসপাতালে রোগী রাখার জায়গা নেই।
এ অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বার্ন হাসপাতালসহ যেখানে কোভিড রোগী রাখার কথা না, সেসব হাসপাতালেও শয্যা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটিতে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করারও চেষ্টা চলছে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা রোগীর জন্য আইসিইউয়ের চাইতেও বেশি প্রয়োজন অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা। সেজন্য হাসপাতালগুলোতে বাড়ানো হয়েছে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং হাইফ্লো নোজেল ক্যানোলার সরবরাহ।
রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বেড পাওয়ার চেষ্টায় সময় নষ্ট না করে আশপাশের জেলাগুলোর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে যেতে রোগীদের তাগিদ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সব হাসপাতালে ভাল চিকিৎসক ও নার্সসহ উন্নত পরিবেশ রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আলি নূর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার এবিএম খোরশেদ আলম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র ১৫ দিনের বন্ধ করে দেয়ার প্রস্তাব রাখেন সচিব মোহাম্মদ আলি নূর। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যাপকভাবে প্রচারণার তাগিদ দেন তিনি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি।
সভায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মুবিন খান সিলেক্টিভ লকডাউনে যাওয়ার প্রস্তাবনা দেন। তিনি বলেন, নির্দেশনা জারি বড় কথা নয়, প্রয়োজন এর বাস্তবায়ন। চিকিৎসকদের চেম্বারে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও জানান তিনি।