সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
সারাদেশের এক হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে করোনার টিকাদান কার্যক্রম। সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় সবাইকে ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার না চালানোর আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, অনলাইনের পাশাপাশি ম্যানুয়ালি টিকার নিবন্ধন করা যাবে। প্রথম দিনে করোনার টিকা নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এবং স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্টজনরা।
সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে শুরু হলো নতুন এক লড়াই। আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে টিকা নিয়ে দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক টিকা নেন মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে।
করোনার এ লড়াইয়ে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই হাসপাতালে টিকা দেন কৃষিমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্টজনরা।
এদিকে, রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বুথ বসিয়ে করোনা টিকা দেয়া শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে স্ত্রীসহ টিকা নেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
প্রথম দিনে ঢাকার ৫০টি হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে ভিআইপি ব্যক্তি ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখ যোদ্ধারা টিকা নেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিজে টিকা নিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সুনামগঞ্জে প্রথম টিকা নেন সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক। জামালপুরে প্রথম টিকা নেন ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বৃষ্টি নাগ।
বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নেয়ার পর শারীরিক কোনো সমস্যা অনুভূত হয়নি বলে জানিয়েছেন গ্রহিতারা। দিনাজপুরে নিজে ভ্যাকসিন নিয়ে সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করেন হুইপ ইকবালুর রহিম।
যশোর সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে টিকা নিয়ে উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। সাভার সেনানিবাসে প্রথম দিন টিকা নিয়েছেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাহিদুল হকসহ সেনা কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন বুথে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিবন্ধিত ব্যক্তিরা টিকা নিতে পারবেন।