সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
মানসিক সমস্যা নিয়ে আমাদের সমাজে বেশ কিছু প্রচলিত ও ভ্রান্ত ধারণা বা মিথ রয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে এ নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা করেছিলাম। এবার পড়ুন তৃতীয় পর্ব।
মিথ: মানসিক সমস্যা নিজের দুর্বলতার কারণেই হয়। ওষুধ খেলেই হবে, কোন থেরাপির দরকার নেই।
বাস্তবতা: বিভিন্ন গবেষণা বলছে, বড় ধরনের শারীরিক রোগের মতোই মানসিক সমস্যার জন্য সবক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজে দায়ি নয়।
এর জন্যে অনেকাংশেই বংশগত এবং পরিবেশগত কারণ দায়ি। এটা কোন ব্যক্তিগত দুর্বলতা নয়। এই সমস্যার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যক্তিভেদে আলাদা হতে পারে।
কারো ক্ষেত্রে কেবল ওষুধ, কারো ক্ষেত্রে মনোবৈজ্ঞানিক থেরাপি বা কাউন্সেলিং। আবার কারো দু’টিই দরকার হতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই পরিবারের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
মিথ: মাথার রোগ বা মানসিক সমস্যা কিছু না। এটা জ্বিন-ভুতের আছর।
বাস্তবতা: কেবল বাংলাদেশ নয়, আমাদের এই উপমহাদেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশের মধ্যে এমন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
বাস্তবতা হলো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যার মতোই এক ধরনের অসুস্থতা। জ্বিন-ভুতের আছর বলে বাস্তবে কিছু নেই।
বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি সুস্থ হতে পারেন।
মিথ: মানসিক অসুস্থতা কিছুই না, এটা এক ধরনের ঢং। মনোযোগ আকৃষ্ট করার কৌশল।
বাস্তবতা: মানসিক সমস্যা কোন ঢং নয়। এটা শারীরিক রোগের মতোই অসুস্থতা। আর কেউই স্বেচ্ছায় অসুস্থ হয় না, সেটা শারীরিক হোক বা মানসিক।
মানসিক সমস্যার লক্ষণসমূহ একজন প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া সাধারণ কারো চোখে ধরা নাও পড়তে পারে।
আরো জানতে ক্লিক করুন
মানসিক সমস্যা নিয়ে প্রচলিত ধারণা বা মিথ ও বাস্তবতা (পর্ব-১)
মানসিক সমস্যা নিয়ে প্রচলিত ধারণা বা মিথ ও বাস্তবতা (পর্ব-২)