সাইকোহেলথ নিউজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটাই হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার’।
এ উপলক্ষে সোমবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি।
দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বেশ কয়েকটি ফ্রি সেমিনার, সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করে তারা। সেমিনারগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বর্ষের ক্লাস প্রতিনিধি এবং ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারগুলো পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিভাগীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ড. মো. শাহানূর হোসেন এবং বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটির সিনিয়র সদস্য হোসনে আরা বেগম, জোহরা পারভীন ও উম্মে সায়মা সিদ্দীকা।
এতে জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৮.৭% প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২.৬% শিশু-কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পেশাজীবী নেই।
সেমিনারগুলোতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানাবিধ বিষয়ে ধারণা লাভ করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারগুলো সমাজের সকল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর ছাত্র-ছাত্রীরা গুরুত্ব আরোপ করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তর এবং এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজি বিভাগ যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহ্জাবীন হক এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এ দিবসটি পালন করায় আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের ইস্যু।
উপাচার্য আরও বলেন, হতাশা, সীমাবদ্ধতা ও বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলায় পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আনতে ইতোমধ্যে ঢাবিতে ‘স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই ইউনিটের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান ড. আখতারুজ্জামান।