সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
মেডিকেল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজন চিকিৎসকসহ ১২ জনকে আটক করেছে সিআইডি। ১৭ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী অবৈধভাবে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের। গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই ২০০১ সাল থেকে নিয়মিত ভর্তি পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁস করে আসছে।
এমনকি তাদের ব্যাংক একাউন্টে কোটি কোটি টাকা থাকার তথ্যও পেয়েছে সিআইডি। রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সংস্থার প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, এসএসসি, এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসকারী সর্ববৃহৎ চক্রগুলোকে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছেন তারা।
এর মধ্যে দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী এক বিশাল সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডি’র সাইবার পুলিশ। মিরপুর মডেল থানার একটি মামলার সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি এই প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের অন্তত ৮০ জন সক্রিয় সদস্যের তথ্য পায়।
তাদের মধ্যে সাতজন চিকিৎসকসহ ১২ জনকে ২০২০ সালের প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় গ্রেফতার করে সিআইডি। পূর্বে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া জসিম চক্রের মূল হোতা। সে প্রেসের সহায়তায় মেডিক্যাল ভর্তির সাথে সংশিষ্ট চিকিৎসক, কোচিং সেন্টার ও চক্রের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন পৌঁছে দিত।
সিআইডি জানায়, গ্রেফতারকৃতরা প্রশ্ন ফাঁস করে বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন গত কয়েক বছরে। তারা বিগত ১৭ বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অবৈধ পন্থায় বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি করিয়ে শত কোটি টাকা আয় করেছে। মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা হবে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।
গ্রেফতারকৃত সাত চিকিৎসকের ছয়জনই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তবে প্রশ্নফাঁস চক্রের অনেকে এখনও রয়ে গেছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।