সম্পাদকীয়
রাগ নিয়ে প্রথম পর্বে আমরা দেখেছি রাগ কী ও কেন করবেন, রাগের উৎস, রাগের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক এবং রাগ প্রকাশের মাধ্যম বা লক্ষণ সম্পর্কে। দ্বিতীয় পর্বে আমরা দেখব, কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নিয়ন্ত্রণের আগে আমাদের রাগের মূল কারণগুলো চিনে নিতে হবে। পাশাপাশি উপলব্ধি করতে হবে রাগের কী কী লক্ষণ আমার প্রকাশ পাচ্ছে। এতে রাগ নিরসনে কাজ করতে সুবিধা হবে।
রাগের সাধারণ কারণ
- অপমানিত বোধ করলে
- নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে
- আঘাত পেলে
- লজ্জা পেলে
- মনের বিশৃংখল অবস্থা হলে
- পূর্বের কোন পীড়াদায়ক পরিস্থিতি বা ক্রোধ
রাগের লক্ষণ উপলব্ধি
- রাগের শারীরিক লক্ষণগুলো বোঝা
- রাগের আবেগীয় লক্ষণগুলো বোঝা
- রাগের আচরণগত লক্ষণগুলো বোঝা
- চিন্তার নেতিবাচক ধারা খুঁজে বের করা
রাগ নিয়ন্ত্রণের ইতিবাচক উপায়
নিজেকে শান্ত করা এবং ইতিবাচক আচরণ চর্চার মাধ্যমে আমরা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারি।
- রিলাক্সেশন করা
- ব্যায়াম করা
- ধীরে ধীরে বিশ (৬০) থেকে উল্টোদিকে শুন্য (০) পর্যন্ত গোনা
- সাথে সাথে ১০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা
- মজার স্মৃতিগুলো আবার কল্পনা করা
- নিজের বন্ধুদের সাথে গল্প কারা
- যার উপর চিৎকার করতে ইচ্ছা করছে, তাকে ভালো ভালো বলা অর্থাৎ তার ভালো বিষয়গুলো জোরে জোরে বলা
- অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা
- অন্যের মতামতের গুরুত্ব দেওয়া
- মত প্রকাশের দৃঢ়তা (Assertiveness) থাকা
- বর্তমানের ওপর মনোযোগী হওয়া
- যে পরিস্থিতি আপনার হাতে নেই, তা নিয়ে রাগ হলে সে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া (যেমন- রাস্তার জ্যাম)
- মাফ করে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করা
- অন্যকে গ্রহণ করা
- ইতিবাচক ব্যতিক্রমী সমাধান খোঁজা
রাগ পুষে রাখা বা চেপে রাখার মাধ্যমে তা দমনে শরীরে ও মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি প্রাণঘাতী সমস্যা অর্থাৎ দূরারোগ্য ব্যধিতেও আক্রান্ত হতে পারেন। নিয়মিত অনুশীলনে আপনার অতিরিক্ত রাগ নিয়ন্ত্রণ হবে এবং স্বাভাবিকভাবে তা প্রকাশ করতে সক্ষম হবেন।