প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বীমা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবায় টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতি উপজেলায় এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক স্বাস্থ্য বীমা চালু করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। সরকার ‘হেলথ কেয়ার ফিন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি ২০১২-২০৩২’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর অধীনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলার ওই তিন উপজেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বা এসএসকে শীর্ষক পাইলট কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের বাকি ৯ উপজেলায় পাইলটিং সম্প্রসারণের কাজও শুরু হয়েছে। এসএসকে পাইলটিং সফল হলে পর্যায়ক্রমে তা সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এসএসকে’র স্কিম অপারেটর হিসেবে গ্রিণ ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিন উপজেলায় রোগীদের এসএসকে কার্ড দেয়া, ‘ক্লেইম’ প্রস্তুত করা এবং ‘ক্লেইম সেটেলমেন্ট’ কাজ বাস্তবায়নে এসএসকে সহায়তা দিচ্ছে গ্রিণ ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পানি।
এরই মধ্যে কালিহাতিতে ২৭ হাজার ৮৪১টি, ঘাটাইলে ২৭ হাজার ২৩২টি ও মধুপুরে ২৬ হাজার ৪৪৫টি দরিদ্র পরিবারের নিবন্ধন শেষ হয়েছে। বিতরণ করা হচ্ছে এসএসকে কার্ড। প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, তৈরি পোষাক শিল্প ও চা শ্রমিকদের জন্যও সোশ্যাল হেলথ ইন্সুরেন্স প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। এভাবে সারাদেশে স্বাস্থ্য বীমা চালুর মাধ্যমে ওষুধ ও চিকিৎসা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের।