সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাতে ১৬শ’ কোটি টাকা ব্যয় করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বাংলা ইউএস এলএলসি। ঢাকায় চারদিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ।
তিনি জানান, বাংলাদেশে ২.২ বিলিয়ন ডলারের যুগান্তকারী এই বিনিয়োগ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পকারখানা স্থাপন। ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ড. দাউদ বলেন, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। পরিকল্পনার আওতায় ১.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে একটি আধুনিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স এবং বিশেষায়িত নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে, যেখানে দক্ষ নার্সদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- ট্রাফিক জট এড়াতে রোগী পরিবহণের জন্য হেলিকপ্টার সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। চট্টগ্রামে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সার কারখানা নির্মাণের কথাও জানান ড. দাউদ।
আমেরিকান বিনিয়োগকারী গ্রুপ ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বিনিয়োগকারী গ্রুপে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা ও কোম্পানির চেয়ারম্যান ফ্র্যাঙ্ক জাও। এছাড়াও আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. স্যাম বেটেটা, যিনি ফিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গণিত বিভাগীয় প্রধান।
ড. দাউদ সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৩ সালের আগস্টে ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য বেছে নেওয়ার পেছনে তার ব্যক্তিগত ভূমিকা ছিল।
ড. দাউদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমি বোর্ড সদস্যদের বলেছিলাম, আমার জন্মভূমি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং আমি সাফল্য নিশ্চিত করব’। এরপর তিনি দুই মাস বাংলাদেশে থেকে মাঠপর্যায়ে গবেষণা ও সরকারি পর্যায়ে আলোচনা সম্পন্ন করেন। তার এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শিতার ফলেই বিনিয়োগকারী গ্রুপ বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরে ৫ হাজার প্রশিক্ষিত নার্সকে বিদেশে পাঠানো এবং চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ড. দাউদ তার স্বপ্নের কথা জানিয়ে বলেন, ‘এটি শুধু একটি বিনিয়োগ নয়, এটি আমার ১৫ বছরের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিল্প খাতে নতুন ইতিহাস লিখতে যাচ্ছি।’
