সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
বঙ্গভবনে শপথ নিলেন দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ওবায়দুল হাসান সর্বশেষ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা প্রজ্ঞাপনে গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ওবায়দুল হাসান।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে গেছেন ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সে সময় অবকাশকালীন ছুটি থাকায়, তাঁর বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস ছিল গত ৩১ আগস্ট।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শপথগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। টানা ২০ মাস বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার ৬৭ বছর পূর্ণ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। তাই সংবিধান অনুসারে এদিন তিনি অবসরে গেছেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ড. মো. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে জেলা বারের সনদপ্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন ওবায়দুল হাসান। হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন। এরপর ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন। এরপর ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন ১১টি মামলার রায় দেওয়া হয়। তিনি ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্র: একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ: একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ নামে দু’টি বই বাজারে আছে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের।