সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক
আইএসের বোমা হামলার পরও কাবুল বিমানবন্দরে জোরেশোরে চলছে মানুষ সরিয়ে নেয়ার কাজ। দেশ ছাড়তে এখন আরও বেশি মরিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর আফগান সহযোগীরা। হাতে আছে আর মাত্র দু’দিন। ৩১ আগস্টের মধ্যেই নিজেদের নাগরিক আর তাদের সহযোগীদের কাবুল থেকে সরিয়ে নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে।
এরই মধ্যে এই কাজ শেষ করেছে অনেক দেশ। কাবুল বিমানবন্দর এখনও পুরোপুরি মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। যেখানে সপরিবারে কাবুল ছাড়তে প্রাণপণ চেষ্টা করছে তাদের সহযোগী আফগানরা। এ অবস্থায় আরো হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না কেউই।
জঙ্গী হামলার সর্বশেষ তথ্য
বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলা চালায় আইএসের আফগানিস্তান শাখা আইএসকেপি বা আইএসকে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ জন। তাদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে দেড় শতাধিক। কাবুলের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের।
আটকা পড়া বাংলাদেশিরা কেমন আছেন
কাবুল বিমানবন্দরে আটকা পড়া ১৫ বাংলাদেশি নিরাপদে রয়েছেন। সতর্কতা জারির পর তাদের সরিয়ে নেয়া হয় অন্যখানে। প্রায় দু’দিন অপেক্ষার পর বিমান না পাওয়ায় তারা ফিরে যান যার যার আবাসনে। গ্রিন সিগনাল পেলে পেলে আবারো বিমানবন্দরে যাবেন তারা।
তৃতীয় কোন দেশ হয়ে তারা বাংলাদেশে ফিরতে পারেন। জাতিসংঘের উদ্যোগে বিমানের আয়োজন করাও হতে পারে বলে জানা গেছে। একই বিমানে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ১৬০ আফগান ছাত্রীর। তারা সবাই চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ উইমেনের শিক্ষার্থী।
বোমা হামলা নিয়ে রাজনীতি
আইএসের বোমা হামলার পর শুরুতেই তালেবানকে দোষারোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। পরে তালেবানও পাল্টা বিবৃতিতে জানায়, হামলায় কোন তালেবান যোদ্ধার মৃত্যু হয়নি। কারণ যেখানে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটেছে, তা ছিল পুরোটাই মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএসের আফগানিস্তান শাখা আইএসকেপি হামলা চালালেও তালেবানের সাথে কোন না কোনভাবে তাদের যোগসূত্র রয়েছে। এ অবস্থায় বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে ঠিক হবে না দ্বিতীয় কারো ওপর ভরসা করাটা।
আফগান সরকার গঠন প্রক্রিয়া
আফগানিস্তানে বৃহত্তর তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তালেবান। যেখানে দেশের সব গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে তারা।