ই-রেভিনিউ ও ই-ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর কর্মকর্তা ও সহকারি কর কর্মকর্তাদের ই-রেভিনিউ ও ই-ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু।

রোববার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নগর ভবনের কর কর্মকর্তা ও সহকারি কর কর্মকর্তাদের ই-রেভিনিউ ও ই-ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এটি।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা আরেক ধাপে এগিয়ে গেল উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, যারা এই অনলাইন সিস্টেম ডেভেলপ করেছে তারাও আমাদের সক্ষমতা না থাকায় এই সিস্টেম আমাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারছিল না। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা নিজেরাই ঢাকাবাসীর কাছে অনলাইনে ই-রেভিনিউ ও ই-ট্রেড লাইসেন্স সুবিধা পৌঁছে দেব।

তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরের জাতির পিতা লি কন ইউ অবকাঠামোগত উন্নয়নকে দু’ভাগে ভাগ করেছিলেন। একটি হলো হার্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, আরেকটি হলো সফট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট। বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন এসব হার্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট। আর এই হার্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার পরিচালনার জন্য যে মেধা দরকার, যে সক্ষমতা দরকার, যে প্রশিক্ষণ দরকার, যে মানবসম্পদ উন্নয়ন দরকার সেটাই হলো সফট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট। সুতরাং সকল কিছুর চালিকা শক্তিই হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন।

মেয়র আরও বলেন, ১২ বছর আগেও আমাদের মেধাবী ছেলে-মেয়েরা সবাই বিদেশে পাড়ি দিত। তারা মনে করতো, এ দেশে কাজ করার সুযোগ নেই। কিন্তু এখন আমাদের মেধাবী ছেলে-মেয়েরা দেশে ফিরে আসছে। তারা এখন পড়াশোনা শেষ করে মনে করছে, আমিও আমার দেশের জন্য কিছু করতে পারব।

আমারও সুযোগ হবে দেশের জন্য কিছু করার এবং তারা দেশে ফিরে আসছে। এটাই হলো সফট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট। কারণ, আমরা আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পেরেছি এবং সে অনুযায়ী বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সিস্টেম এনালিস্ট আবু তৈয়ব মো. রোকন উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদরে মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক বক্তব্য রাখেন।