ওমিক্রন ত্বকে বাঁচে ২১ ঘণ্টা আর প্লাস্টিকে ৮ দিন

ওমিক্রন, জাপান,

রয়টার্স

করোনাভাইরাসের ধরন অমিক্রন আগের ধরনগুলোর তুলনায় বেশি সময় মানুষের ত্বক ও প্লাস্টিকের উপরিভাগে বেঁচে থাকে। জাপানি গবেষকদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের উপরিভাগে এই ধরন বেঁচে থাকে ৮ দিন এবং মানুষের ত্বকে বেঁচে থাকে ২১ ঘণ্টা। জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষণাগারে একাধিক পরীক্ষার পর এসব তথ্য জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তাদের এই গবেষণা নিবন্ধের পর্যালোচনা এখনো সম্পন্ন হয়নি। গবেষকরা বলছেন, অমিক্রন স্বাভাবিক পরিবেশে অপরিবর্তিত থাকে। এ কারণে অমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা থাকে।

ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই ডেলটা পেছনে ফেলে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ধরন হয়ে উঠেছে অমিক্রন। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্লাস্টিকের উপরিভাগে আলফা, বিটা, গামা ও ডেলটা ধরন টিকে থাকতে পারে যথাক্রমে ৫৬ ঘণ্টা, ১৯১ ঘণ্টা, ১৫৬ ঘণ্টা, ৫৯ ঘণ্টা ও ১১৪ ঘণ্টা।

কিন্তু অমিক্রন বেঁচে থাকতে পারে ১৯৩ ঘণ্টা। এই গবেষণার জন্য মৃতের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রথম ধরনটি সাড়ে ৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকে মৃতের ত্বকে।

এর বিপরীতে আলফা বেঁচে থাকে সাড়ে ১৯ ঘণ্টা, বিটা বেঁচে থাকে সাড়ে ১৯ ঘণ্টা, গামা বেঁচে থাকে সাড়ে ১১ ঘণ্টা, ডেলটা বেঁচে থাকে সাড়ে ১৭ ঘণ্টা এবং অমিক্রন বেঁচে থাকে সাড়ে ২১ ঘণ্টা।

ত্বকে লেগে থাকা করোনাভাইরাস অ্যালকোহলনির্ভর স্যানিটাইজারের সংস্পর্শে এলে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে পুরোপুরিভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে। গবেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এ জন্য অ্যালকোহলনির্ভর পরিষ্কারক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, করোনার পরীক্ষার জন্য নাসারন্ধ্র থেকে নমুনা নেওয়া উচিত। গলা কিংবা মুখগহ্বর থেকে নমুনা না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।