১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য – Make mental health & well-being for all a global priority অর্থাৎ সবার মানসিক স্বাস্থ্য ও ভালো থাকাটাই হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার। এ উপলক্ষে থাকছে সাইকোহেলথ নিউজের ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে এর তৃতীয় পর্ব। বিষয় ‘ঘুম’।
প্রশ্ন: আপনি কি রাতে ৭ ঘন্টার কম ঘুমাচ্ছেন?
উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনার বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক রোগে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। নিয়মিত কম ঘুমানোর ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হৃদরোগ, ইরেগুলার হার্টবিটস), ডিপ্রেশন ইত্যাদি।
তাই পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যকর ঘুমের নীতিমালা বা ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ৪৫ ভাগ মানুষের ঘুমের সমস্যা তীব্র। তবে ২০১২ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার গবেষণা অনুসারে, আফ্রিকা ও এশিয়ার বাছাইকৃত আট দেশের মধ্যে ঘুমের সমস্যায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে।
এর মধ্যে নারীরাই বেশি, ৪০ শতাংশ। এছাড়া ২৩ শতাংশেরও বেশি পুরুষের মধ্যে ঘুমজনিত সমস্যা তীব্র।
ঐ গবেষণায় ঘুমের সামাজিক কয়েকটি কারণও চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, অল্পশিক্ষা, জীবনসঙ্গীর সাথে না থাকা ও ইচ্ছাকৃত নিম্নমানের জীবন-যাপন করা। গবেষণাটি চালানো হয় পঞ্চাশ ও তদুর্ধ্ব নারী-পুরুষের মধ্যে।
আরও জানুন
পর্ব-১, কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য
পর্ব-২, রাগের ইতিবাচক নিয়ন্ত্রণ
পর্ব-৩, ঘুম