করোনা টেস্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন যেভাবে

করোনা টেস্ট

সাইকোহেলথ নিউজ ডেস্ক

অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে মাত্র একশ’ টাকায় করোনা টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক। এ লক্ষ্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য রাজধানী ও গাজীপুরে ১৮টি বুথ স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অনলাইনে আবেদন করে টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে সাতটি ধাপে করোনাভাইরাসের নমুনা পাঠাতে পারবেন যে কেউ।

গত বছরের মে মাস থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাশাপাশি এসব বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে টেস্ট ল্যাবে।

বর্তমানে ব্র্যাকের নমুনা সংগ্রহ বুথের সংখ্যা ১৮টি। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১টি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ছয়টি এবং গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি বুথ রয়েছে।

প্রতি সপ্তাহের শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই সব বুথ। করোনাভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে, এমন ব্যক্তিরা বুথে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসতে পারবেন।

তবে সবার আগে অনলাইনে আবেদন করে নির্ধারিত একশ’ টাকা ফি জমা দিতে হবে। আবেদন না করে বুথে গিয়ে কেউ নমুনা দিতে পারবেন না।

অনলাইনে আবেদনের সাতটি ধাপ

১. অনলাইনে ব্র্যাকের করোনা টেস্টের ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘আগামীকালের করোনা শনাক্তকরণ টেস্টের জন্য এখানে ক্লিক করুন’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। তারপর তিনটি প্রশ্ন পড়ে ‘হ্যাঁ’ তে ক্লিক করতে হবে। এভাবে প্রথম ধাপ সম্পন্ন হবে।

২. দ্বিতীয় ধাপে আপনার জেলা বা শহর নির্বাচন করতে হবে। তারপর নিকটস্থ বুথ নির্বাচন করতে হবে।

৩. তৃতীয় ধাপে ‘আমি সম্মত আছি এবং করোনা সংক্রান্ত টেস্ট করাতে চাই’ বাটনে ক্লিক করলেই একটি আবেদন ফর্ম চলে আসবে।

৪. মোবাইল নম্বর বা ই-মেইলসহ সব তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করলে, মোবাইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে। কোড নম্বরটি নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে ক্লিক করলেই আবেদন নিশ্চিত হবে।

৫. আবেদন সম্পন্ন করার জন্য নগদ অ্যাপের মাধ্যমে ‘বিল পে’ ট্যাবে ক্লিক করে ‘কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহের ফি’ সিলেক্ট করুন। তারপর ‘MOHFW Covid19 Test Booth’ বাটনে ক্লিক করে ১০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

৬. টাকা পরিশোধের পর একটি ট্রান্সেকশন নম্বর পাঠানো হবে। যারা অ্যাপ থেকে পরিশোধ করেছেন, তারা অ্যাপের মাধ্যমে আর যারা সরাসরি নগদ থেকে করেছেন, তারা এসএমএসের মাধ্যমে নম্বরটি পাবেন।

৭. শেষ ধাপে ওয়েবসাইটের নির্ধারিত ফর্মে ট্রান্সেকশন নম্বরটি লিখে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। পরবর্তী এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন নিশ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য, এই টাকার কোনো অংশ ব্র্যাকের তহবিলে যায় না। এটার পুরো অংশই জনকল্যাণে সরাসরি সরকারি তহবিলে জমা হয়।