চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো

নোবেল পুরস্কার, সুইডেন, সুভান্তে প্যাবো,

সাইকোহেলথ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২০২২ সালে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার অর্জন করলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সুভান্তে প্যাবো। আদিম মানুষের জিনোম উদঘাটন ও মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ সময় সোমবার (৩ অক্টোবর) নোবেল কমিটি বিজয়ী হিসেবে এই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে।

এবার চিকিৎসায় নোবেলের জন্য মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষিপ্ত তালিকা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বরাবরের মতোই সব নথিপত্র অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে রেখে তা জনসাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়।

প্যাবো তার এই গবেষণার মাধ্যমে আগের অজানা একটি মানব প্রজাতির অস্তিত্বের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সামনে এনেছেন, যা ডেনিসোভানস নামে পরিচিত।

সুভান্তে প্যাবো ১৯৮৬ সালে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। এরপর তিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়- ও পরে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলেতে পোস্টডক্টরাল সম্পন্ন করেন।

সুভান্তে ১৯৯০ সালে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত হন। ১৯৯৯ সালে ’বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞান’-এর জন্য ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট, লিপজিগ প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানেই তিনি বর্তমানে কর্মরত।

২০২০ সাল থেকে প্যাবো জাপানের ওকিনাওয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন।

১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এই বছরের কার্যক্রম শেষ হবে। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পান মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম প্যাটাপৌসিয়ান।

ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়।

প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।

প্রত্যেক পুরস্কারের জন্য সনদ ও সোনার মেডেলসহ এক কোটি ক্রোনা বা নয় লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। ১৯০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬০৯ বার এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।